কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

টেকনাফে শিক্ষার্থীসহ ৮ জন অপহরণের ঘটনায় ছিলো দেশীয় দুর্বৃত্তরা

কক্সবাজারের টেকনাফ জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষার্থীসহ ৮ জন অপহরণের ঘটনায় কোনো রোহিঙ্গা জড়িত ছিল না বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফিরে আসা অপহৃতদের নিয়ে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার। অপহরণের ৩ দিন পর আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন ওই ৮ জন। ৩ দিন ধরে প্রশাসনের লোকজন ও স্থানীয়সহ ৪ শতাধিক মানুষ পাহাড়ী অঞ্চলে অপহৃতদের উদ্ধার অভিযানে নেমেছিলেন।

তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, তারা ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছে। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মুক্তিপণ নিয়ে ফেরার শর্তে প্রথমে ৬ জনকে বাড়িতে পাঠায় অপহরণকারীরা।
প্রথমে ৬ জন এলাকায় এসে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পাহাড়ে গেলে বাকি দুজনকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে রাত ৩টার দিকে পুলিশের একটি টিম এসে সবাইকে থানায় নিয়ে যায়।

এর আগে গত রবিবার বিকেলে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ের খালে মাছ শিকার করতে গেলে সেখান থেকে তারা অপহৃত হন।
এরা হলেন বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, তার ভাই করিম উল্লাহ, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান, রুস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আবছার ও নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে গেছে। আমরা পাহাড়ে ড্রোন উড়িয়ে দুর্বৃত্তদের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করেছি।

দিনরাত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। অবশেষে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীদের ছেড়ে দেয়।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বাদী আমাদের জানিয়েছেন কোনো মুক্তিপণ ছাড়া বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দেয়। ভুক্তভোগীরা আমাদের জানিয়েছেন অপহরণকারীরা রোহিঙ্গা নয় বরং দেশীয় সন্ত্রাসী।
এ ঘটনায় আমরা এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারিনি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল অপহৃতদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা। তবে ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পাঠকের মতামত: